যত্ন করে মুছে ফেলেছো

image
ছেলেটারে কানতে দেখছ? দেখ নাই।
সে চক্ষু দিয়া কান্দে না, শিশ্ন দিয়া কান্দে।
রোজ রাইতে হস্তমৈথুন শেষে থুক দেয় শিশ্নের ডগায়,
আর ভাবে, অইটা তোমার মাথা।
এইভাবে একদিন সে সর্বহারা হবে, স্পার্মকাউন্ট- শূন্য।
তখন ত তুমি বলবা পাড়ায় ঢোল পিটায়া- "এইজইন্যই ছাইড়া আইছিলাম সুদির্ভাইয়েরে! কিইস্সু নাই।"

হ, তুমি ভবিষ্যৎদর্শী খোদা।
ছেলেটারে রানতে দেখছ? দেখ নাই।
সে তরকারি রান্ধে না, দরকারি রান্ধে।
জুতা রান্ধে, সেন্ট রান্ধে, পাঞ্জাবি-শার্ট রান্ধে, রান্ধে জাঙ্গিয়া।
সব শেষে পাতিলে তোলে দুইখান ঠোঁট, তোমারে যা জমা দিয়াছিল;

রাইখা গেছ রস খাওয়া শেষে,
মনে আছে?
এইভাবে, একদিন সে হইব সর্বখেকো কাউয়া।
তখন ত তুমি বলবা পাড়ায় ঢোল পিটায়া- "এইজইন্যই ফালায়া আইছিলাম শাউয়ার্শাউয়ারে। মানুষ ত না!"

হ, তুমি সর্বজান্তা ভগবান।
ছেলেটারে বানতে দেখছ? দেখ নাই।
সে দড়ি দিয়া বান্ধে না, জিহ্বা দিয়া বান্ধে।
জিহ্বায় গান পাড়ে, গাইল পাড়ে, গাঞ্জা ও ডাইল পাড়ে, জিহ্বায় তোমাগোর রুমান্টিক কোবতেও পাড়ে-

"তুমি কি কেবলই হুরপরি? নাকি নিউমার্কেট?"
জিহ্বাটায় কুনোদিন তোমার জিহ্বা ছিল কিনা, তার মনে পড়ুক না-পড়ুক,
তুমি কেন ভুলতে চাও অইন্যের জিহ্বায় লুকায়া?
তখন ত বলবা জওয়াবে- "অশ্লীল শালার্পুৎ! দেহ বোঝে অন্তর বোঝে না।"
হ, তুমি ত ভালাই বুঝতাছ ইদানীং অন্তর, মন, আর হৃদয়-চুদয়।

ছেলেটারে আসলেই দেখছ? দেখ নাই।
ছেলেদের দেখতে হইলে চউক্ষের মইধ্য দিয়া ঢুইকা কলিজায় ধাক্কা মারতে হয়। মারতে পার নাই।
পকেটে ছেলে থাকে না, কলিজায় থাকে।
কী দরকার কলিজা-ফলিজায়!
একদম! তুমি বলবা- "বালের কলিজা!"
হ, তুমিই সইত্য।
ঠিক যেমন সইত্য হইল- দুনিয়ার একমাত্র মানবাধিকারপ্রেমী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।