মুহূর্তেরা বলে যায়

image

পাওয়া'র জন্য যে-আকুতি, তার ছিটেফোঁটাও 'রাখা'র জন্য থাকতো যদি— হৃদয় দিতাম প্রিয়।

০১. প্রেমভিক্ষে: প্রাক্তনের কাছে গিয়ে কেঁদেকেটে পুনরায় প্রেম ভিক্ষে চাওয়াটা নির্বোধের কাজ। প্রেম— ভিক্ষে নয়, এ সমর্পণ। সমর্পণে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার অর্থ— প্রাক্তন তার বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। বিশ্বাস দ্বিতীয়বার অর্জন করা যায় না। ঈশ্বরে বিশ্বাস হারিয়ে ফেললে জীবনে আর কখনোই সমর্পিত হয় না পূজারি।

০২. ইমোশনাল ব্লাকমেইল: "আমি আত্মহত্যা করবো", "আমি বাঁচবো না", "তুমি ছাড়া জীবন অর্থহীন", "আমি অসুস্থ", ইত্যাকার আবেগজাত মিথ্যেগুলো প্রাক্তনকে শুনিয়ে তার সমবেদনা আদায় করার ইচ্ছেটা চূড়ান্ত বাচ্চামি। এসব, নিজেকেই ছোট করে, আত্মমর্যাদা নষ্ট হয়। প্রাক্তনের কাছে এসবের ছিটেফোঁটাও মূল্য নেই।

০৩. চাপ প্রয়োগ: পুনরায় সম্পর্কে আসার জন্য প্রাক্তনকে জোরাজুরি করাটা হাস্যকর। মনে রাখা জরুরি— প্রাক্তন মানেই অতীত। অতীতকে কখনোই বর্তমান বানানো যায় না, বড়োজোর ঘৃণার উদ্রেক করা যায়। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ— এই তিনটি সম্পূর্ণ আলাদা ও বিপরীতমুখী শব্দ।

০৪. লোভে ফেলা: প্রাক্তনকে পুনরায় পাওয়ার জন্য প্রাচুর্যের লোভ দেখানো, সুখী সংসারের লোভ দেখানো, দেহের লোভ দেখানো, নিজেকে ছোট করে। প্রাচুর্যের বা সুখের বা সেক্সের অভাবে ছেড়ে যায়নি প্রাক্তন, সে ছেড়ে গেছে অপমানিত হয়ে, অথবা বিশ্বাস হারিয়ে।

০৫. আল্টিমেটাম: "মেরে ফেলবো", "তোমার জীবন ধ্বংস করে ফেলবো", "দেখে নেবো আমি", এভাবে প্রাক্তনকে ভীতি প্রদর্শনে বীরত্ব নেই, আছে কাপুরুষতা-হীনম্মন্যতা। প্রাক্তন এসবকে পাত্তা দেয় না, যেহেতু সে জানে— বীরত্ব থাকলে সম্পর্ক ভাঙতোই না। পুনরায় সম্পর্কের উদ্দেশ্যে আলটিমেটাম দেওয়াটা হচ্ছে— বালখিল্যপনা।

০৬. স্মৃতিকাতরতা: প্রাক্তনের স্মৃতির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়াটা ভয়ানক! যে যাওয়ার সে যাবেই। সম্পর্ক টেকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধে, চাওয়াপাওয়ার পূর্ণতায়। যে ছেড়ে গেছে সে শ্রদ্ধাবোধ আর রাখে না বলেই, তার চাওয়াপাওয়া পূরণের ক্ষমতা একদার প্রিয় মানুষটির নেই বলেই, সে এখন প্রাক্তন। তাহলে? কেন এই স্মৃতিকাতরতা? রাতদিন প্রাক্তনের স্মৃতি জপ করে কী প্রমাণ করা যায়? কিছুই না। এরকম করতে-করতে একদিন ছাগলে রূপান্তরিত হয় মানুষ। ম্যাএএএ।...

০৭. সাইবার স্টকিং: অনলাইনের মাধ্যমে প্রাক্তনকে উত্যক্ত করা আধুনিক সময়ের খুবই বাজে একটি অভ্যাস। ফেসবুকে, ইউটিউবে, এবং ইন্টারনেটের অন্যান্য মাধ্যমে প্রাক্তনের বদনাম করা, তাকে আরও আরও অপমান করা প্রেমকালীন বিশ্বস্ত সময়ের আন্তরিক ছবি-ভিডিও প্রকাশ করে, তাকে নিরন্তর হুমকি দেওয়া, এইসব প্রকৃতপক্ষে একসময়কার প্রিয় মানুষটির প্রতি চূড়ান্ত ঘৃণারই জন্ম দেয় প্রাক্তনের মনে। সমাজ ও রাষ্ট্রও এসবকে ঘৃণার চোখে দেখে, এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে।

০৯. প্রাক্তনের বন্ধুতা: কিছু ক্ষেত্রে, প্রাক্তন নিজেই ফিরতে চায়, তবে প্রেমিক বা প্রেমিকা হিসেবে নয়, বন্ধু হিসেবে। এক্ষেত্রে, অনেকেই ভেবে বসে যে, তাকে ছাড়া প্রাক্তনের চলছে না বলেই সে ফিরতে চাইছে। অথচ সে বন্ধুতা প্রস্তাব করেছে, প্রেম নয়। প্রেম ও বন্ধুতার মধ্যকার পার্থক্যটি, প্রাক্তন বুঝিয়ে দেওয়ার পরেও, অপরপক্ষ ধরতে পারে না, কারণ সে তখন হাস্যকর অহংকারে ভুগতে থাকে। প্রাক্তন যখন বন্ধু হিসেবে থাকতে চায়, বুঝে নিতে হবে— সে চায় তার একসময়কার প্রিয় মানুষটি তার পরামর্শে থেকে সুন্দর একটি জীবন যাপন করুক, পথভ্রষ্ট না-হোক। এই সুন্দর ইচচ্ছের মূল্য দিতে হয়। সব সম্পর্ককেই সংসারে নিয়ে যেতে হবে কেন? কিছু সম্পর্ক সংসারের গণ্ডির বাইরে থেকে অনন্ত হলে ক্ষতি কী? যেমন বন্ধুতা। অথচ, প্রাক্তনের এই আহ্বানকে অসম্মান করে আরও বেশি অশ্রদ্ধার মানুষ হয়ে ওঠে একদার প্রিয় মানুষটি।

১০. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে— বিশেষত ফেসবুক ও টুইটারে— প্রাক্তনের চোখে পড়ার মতো করে নিজেকে আগের তুলনায় সুখী, সেরা, আনন্দিত দেখানোটা মারাত্মক ভুল। কারণ, প্রাক্তনের কাছে এসবের কানাকড়িও মূল্য নেই। সম্পর্ক ছেড়ে যাওয়া একজন মানুষের মানুষের কাছে তার প্রাক্তনের সেরা হওয়া বা অসেরা হওয়ায় কিছুই যায় আসে না। এসব করে নিজেকে হাসির পাত্রই করে তোলা হয় মূলত।

১১. বন্ধুত্বের চাপ: প্রেম হারিয়ে, অন্ততপক্ষে বন্ধুত্ব রাখার জন্য— কাকুতিমিনতি কিংবা চাপ প্রয়োগ— দু'টোই বিরক্তিকর। বন্ধুত্বের প্রস্তাব দেওয়া যায়, কিন্তু জোরাজুরি কিংবা ভিক্ষে নয়। বন্ধুত্ব গৃহীত না-হলে তৎক্ষণাৎ ফিরে আসাটাই স্বাসযথ্যকর। অন্যথায়, সম্মান হারাতে হয়।

১২. 'শেষ কথা বলে যাও': সম্পর্ক কেন ত্যাগ করেছে প্রাক্তন— এর জবাবদিহিতার জন্য চাপাচাপি করা; অর্থাৎ, "শেষবারের মতো বলে যাও কেন আমাকে ছাড়লে"— এরকম আকুতি, প্রাক্তনকে চরমভাবে বিরক্ত করে। কারণ, উভয়েই জানে কেন সমর্কচ্ছেদ হয়েছে; তারপরও বাচ্চার মতো "বলে যাও,... বলে যাও"... করাটা নির্লজ্জতারই সামিল।

১৩. উপহার ও শুভেচ্ছা: সম্পর্কচ্ছেদের পরে, প্রাক্তনকে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন উপলক্ষ্যে, উপহার পাঠানো, শুভেচ্ছা জানানো, ভণ্ডামিরই নামান্তর। কারও জন্য শুভকামনা থাকলে, তাকে জীবন থেকে বাদ দেওয়া যায় না। একারণেই, বাদ দিয়ে দেওয়ার পরে শুভকামনা জানানোটা— হিপোক্রিসি। এতে প্রাক্তন চমভাবে অপমানিত হয়।

১৪. আঘাত: কাউকে না-পেয়ে, তাকে পঙ্গু করে দেওয়া, এসিড ছোঁড়া, ব্লাকমেইল করে সেক্স করা, জবরদস্তি রেইপ করা, হত্যা করা, মানুষ হিসেবে সবচেয়ে নিম্নস্তরের কাজগুলোর অন্যতম। এতে প্রমাণিত হয়ে যায়— প্রাক্তনকে ভালোবাসেনি তার একসময়ের আকাঙ্ক্ষিত মানুষটি, স্রেফ ব্যবহার করতে চেয়েছে। একমুহূর্তের ভালোবাসা থাকলে, জীবনে কখনোই প্রাক্তনের অসম্মান বা ক্ষতিসাধন সম্ভব নয়। এই ভন্ডামি ঘৃণার উদ্রেক করে প্রাক্তনের মনে, আজীবনের জন্য।

১৫. হাতে লিখা চিঠি: হাতে লিখা চিঠি পাঠিয়ে প্রাক্তনকে স্মৃতিকাতর করে তোলার এই চেষ্টাটি খুবই সস্তা একটি কাজ। এটা করার অর্থ— প্রাক্তনকে পুনরায় দুর্বল করার চেষ্টা। অথচ, হাতের লিখা পাঠানো বাদই দিলাম, প্রাক্তনের কাছে নিজে চলে গেলেও জীবনে আর কখনোই দুর্বল হবে না সে। এই সহজ ব্যাপারটি বোঝার ক্ষমতা এসব আবেগীদের নেই। প্রাক্তনের কাছে বারবার হাতে লিখা চিঠি পাঠানো মানেই, ইম্ম্যাচিয়োরিটি।

১৬. নজরে থাকার চেষ্টা করা: বারবার প্রাক্তনের কাছে গিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করা, কথা কাটাকাটি করতে থাকা, যখনতখন যোগাযোগ করে গালি দেওয়া, এইসব হচ্ছে— প্রাক্তনের নজরে থাকার ধান্ধা। একজন বাচ্চাও বোঝে এসব। যার কাছে তোমার মূল্য নেই, তার নজরে থাকতে চাওয়াটা— ব্যক্তিত্বহীনতা। ব্যক্তিত্বহীনকে সম্মান করার কোনোই কারণ নেই।

১৭. প্রতিশ্রুতি: আগের চেয়ে ভালো হয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি, অর্থাৎ— "আমি ভালো হয়ে যাব", "তোমাকে আর অসম্মান করব না", ইত্যাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, প্রাক্তনকে পুনরায় পাওয়া যায় না। কেননা, একটি প্রেমের সম্পর্ক হুট করে ছিন্ন হয় না, আর বিচ্ছেদের ওই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার সময়কালে যখন নিজেকে পাল্টায়নি বা পাল্টানোর চেষ্টা করেনি, তখন সে যে পুনরায় প্রাক্তনকে পেলে পাল্টাবে— এ বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। এ অযৌক্তিকও। ফলে, এরকম প্রতিশ্রুতি বিরক্তিই বাড়ায় প্রাক্তনের মনে।

১৮. আত্মধ্বংস: "আমি নষ্ট হয়ে যাব", "তোমার জন্য সন্ত্রাসী হয়ে যাব আমি"— এই কথাবার্তাগুলোও ইম্ম্যাচিয়োরিটি। কারও জীবন ধ্বংস হওয়ার পেছনে কখনোই প্রাক্তন একা দায়ী নয়। সম্পর্ক উভয়ের সমর্পণের ফল, বিচ্ছেদও উভয়ের অবিশ্বাসের ফল। অতএব, নিজেকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি প্রদানের অর্থ— নিজের অপরাধকে অস্বীকার করে পুরো দায় প্রাক্তনের উপরে তুলে দেওয়া। এই একতরফা দোষারোপ চূড়ান্ত অশ্রদ্ধা তৈরি করে।

১৯. ফিরে পাওয়ার ভাবনায় বুঁদ: খুব শীঘ্রই প্রাক্তনকে পুনরায় ফিরে পাচ্ছেন— এই ভাবনায় বুঁদ হয়ে থাকাটা ভয়াবহ! প্রাক্তনের আশায় দিন গোনার মতো চরম ভুল একজন মানুষের জীবনে খুব অল্পই আছে। প্রাক্তন কখনোই ফেরে না। কখনোই না। অথচ, সে আসবে, সে ভুল বুঝতে পেরে ফিরবে আমার জীবনে, এই কাল্পনিক ভাবনা কখনোই একটি সুস্থ জীবনের দিকে এগোতে দেবে না তোমাকে। এভাবে অপেক্ষা করতে-করতে, একদিন নিঃস্ব হয়ে যেতে হয়। আর, প্রাক্তনও এরকম অযৌক্তিক মানুষের প্রতি চরম বিরক্ত হয়ে পড়ে।

২০. প্রাক্তনের নতুন সাথী: প্রাক্তন নতুন সম্পর্কে জড়াবেই। এটাই স্বাভাবিক। বিরহ যাপন প্রকৃত প্রেমিক বা প্রেমিকার জন্য নয়। তুমি নতুন সম্পর্কে জড়াতে পারছ না, এটা তোমার ব্যর্থতা; এতে প্রাক্তনের সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়া বসে থাকবে না। আর, প্রাক্তনের নতুন সাথীকে হুমকিধামকি দেওয়া, আঘাত করা, অপমান করা; নতুন সাথীটির চেয়ে নিজেকেই সেরা প্রমাণে উঠেপড়ে লাগা— এককথায় অর্থহীন। কারণ, এতে করে— তুমি নিজে সম্মান হারাচ্ছ, প্রাক্তন অসম্মানিত হচ্ছে, প্রাক্তনের নতুন সাথী অসম্মানিত হচ্ছে। আর, সব শেষে, এটাই প্রমাণিত হচ্ছে, যে, তুমি কখনোই ভালোবাসা'র যোগ্য ছিলে না।

২১. 'বিরহী কবি': বিরহ। আহ্! সম্পর্কচ্ছেদ মানেই যেন এক বা দুইজন বিরহীর জন্ম হওয়া। এ যেন এক অঘোষিত নিয়ম! আরে! কেন? জগতে আর মানুষ নেই? একজন ছেড়ে গেছে, আরেকজন আসবে না? যার জীবনে আরেকজন আসে না, তার জীবনে প্রথম জনের আসাটাও ভুল করেই আসা। এরকম মানুষগুলো, প্রেমের অযোগ্য। কেন বিরহকাতর হয়ে থাকতে হবে? বিরহী হয়ে থাকাটা লজ্জাজনক, কারণ— এতে প্রাক্তন বিব্রত হয়, আর সমাজের কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয় বিরহী। প্রেম হারিয়ে বিরহী হয়ে ওঠে একমাত্র আত্মবিশ্বাসহীনরাই। যার নিজের ভালোবাসার ক্ষমতার উপর বিশ্বাস আছে, সে-ই প্রকৃত প্রেমিক-প্রেমিকা, সে কখনোই বিরহী হয় না। সে জানে, ভালোবাসবার তীব্র ক্ষমতা তার আছে, এবং তার জন্য যথার্থ মানুষটি তার কাছে আসবেই, ভালোবাসা নিতে, দিতে। বিরহ বিরক্তিকর, ও হাস্যকর। বিরহীরা হাস্যকর, অসুস্থ। "শুধু তোমাকেই চাই" ভাবনাটি অবাস্তব। 'শুধু তুমি' বলে কিছু নেই। সবকিছুরই অপশন আছে, তুলনামূলক শ্রেয় বা নিকৃষ্ট। তুমি যার যোগ্য, কেবল তাকেই তোমার জীবনের খাপে জুড়তে পারবে। লেডি ডায়ানা জুয়েলের জন্য নয়, একইসাথে হাহাকারও জুয়েলের জন্য না। প্রিয় মানুষটি নয়, যথার্থ মানুষটির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করাই 'ভালোবাসার সম্পর্কের' একমাত্র পূর্বশর্ত। বি হিউম্যান, নট আ ফিকশনাল ক্যারেক্টার।

বিরহী মানুষের আশেপাশে ভুলেও থাকবেন না,

এরা বিপদজনক—

এরা তেঁতুলগাছের ডাল থেকে ঝুলতে থাকা সাপটিকে ভেবে নেয়— প্রিয়ার আঁচল, প্রিয়'র প্রসারিত হস্ত।

এরা বসবাস করে কল্পনায়—

এদেরকে কাঁদতে বলুন, কাঁদবে না;

হাসতে বলুন, মুহূর্তেই কেঁদে দেবে ভ্যারভ্যারিয়ে।

এদের অনুভূতি আত্মনিয়ন্ত্রণহীন,

এদের প্রতিবর্তীক্রিয়াও তা-ই: মশা হুল ফোটায় এদের পাছায়, এরা থাবড়া বসায় আপনার তলপেটে;

কারণ— এদের সমস্ত ব্যর্থতার জন্য আশেপাশের মানুষগুলোকেই একমাত্র দায়ী ভাবে এরা।

"তুই চাকরি দ্যাছ্ নাই।"

"তুই নাইরকেল তেলের ডিব্বা লুকায়ে রাখসিলি।"

"তুই ভিতরে-ভিতরে পিন মারছোস।"

"তুই শয়তান, আমিই ঈশ্বর।"

— এদের ভাবনাচিন্তার দৌড়।

সুস্থ থাকতে চান?

বিরহী-সঙ্গ পরিত্যাগ করুন এইমুহূর্তেই।

বিরহীরা নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে কখনোই ভাবে না,

'আপনি কেন সুস্থ আছেন'— এটাই তাদের একমাত্র আফসোস।

কিন্তু, এরা ধুরন্ধর!

বিরহী-ভাব সারা অঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে, এরা আপনার পকেট থেকেই পেট ভরাবে রোজরোজ—

ইমোশনাল ব্লাকমেইলার্জ।

এদেরকে যদি অতোই মন পোড়ে, শুধুমাত্র কীটনাশক খাওয়ান,

এরা স্বাস্থ্যকর আহারের যোগ্য না।

এবং

এইসব লিখা মন দিয়ে পড়ে— বিরহীরাই।

অচিন মাইনষের ধারে পিরিত দিয়ো না।

তারে দিয়ো, যারে লাগে অচিন অচিন—

কিন্তুক, মনে লয়— কত যুগ চিনা!

মনে লয়— কইলজা তার কাইট্টা ফালাইব হেয়, কওনের লগে-লগে তুমি,

আবার যদিবা কও— জোড়ন লাগাও;

অমনি সিলাই দিয়া বানাইব কইলজারে নকশার কাঁথা—

তুমারে জড়ায়া রাইখতে জনম-জনম!

অচিন মাইনষের ধারে পিরিত দিয়ো না।

তারে দিয়ো, যে তুমারে আজেবন বুকোর তলায় রাইখব রক্ষাকবচে।