তুমি অরণ্য হও হবো পাখী

image

ভালো থাকার জন্য কতটা ভালোরাখতে হয়?

কতটা নিংড়ে নিলে হাসি ফেরি করা যায়?

সবকিছু বোঝার আগেই বন্ধুত্বে চোখ ভিজেছে!

শুকোতে শুকোতে দু'বছর প্রায়।

তারপর প্রথম প্রেম!

শহরের ভিড়ে হাত ছেড়ে তার চলে যাওয়া।

তারপর ভালোবাসার হাত ধরে ঘর বাঁধা,

তাকেও জানালা থেকে বহু দূরে ভিড়ে মিলিয়ে যেতে দেখা!

আর অবশেষে যার মনের সাথে নিজের মন মিলেছিল,

বুঝেছিলেম এবন্ধন চিরকালীন!

তার ছবি একান্তে দেখে কষ্টে বুক বাঁধা।

ভালো থাকা আর হলো কই!

সবটাই এখন অন্ধকার ঘরে,

আর ভিজে বালিশে!

image

নিঃসঙ্গতার সাথে সখ্য গড়েছিলাম ভালোই,

তারপর…

চোখে মোটা গ্লাসের চশমা

রুক্ষ চুলের লুকোচুরি

আর তার বন্য হাসির উচ্ছলতা,

ভেবেছিলাম তোকে নিয়ে লিখবো কবিতা,

এলোমেলো বন্য কবিতা।

আগুনঝরা ফাগুনে ঝাপসা চোখে

বাসন্তি শাড়ি জড়িয়ে খুজেছিলি আমাকে

হাজারো ভীড়ের মাঝে,

রঙ্গিন বৈশাখের তপ্ত রৌদ্দুরের নিঃস্বঙ্গতায়

হারিয়ে ফেলেছি তোকে

হাজারো রঙের ভীড়ে,

ভেবেছিলাম তোকে নিয়ে লিখবো আরো একটি কবিতা

এলোমেলো রঙ্গিন কবিতা।

তোর আঙ্গুলের ফাঁকে আঙ্গুল জড়িয়ে

ইচ্ছে ছিলো কাটাবো কতো অলস দুপুর,

তুই চেয়েরবি আমার চোখে

মোটা গ্লাসের চশমার ফাকে,

ভেবেছিলাম তোকে নিয়ে লিখবো একটি কবিতা

এলোমেলো অলস দুপুরের কবিতা।

একটি বর্ষা পেরিয়ে যায়

অঝোর বর্ষনে বিষন্নতার চাদর হয়ে,

শরতের স্নিগ্ধ বিকেলে

হাটবো কি দুজন আবারো একই ধারে?

অচেনা পথের ধুলো মাড়িয়ে

আঙ্গুলের ফাকে আঙ্গুল জড়িয়ে,

সেই মোটা গ্লাসের চশমা চোখে

পাড় হবে কতো শত গোধূলী বেলা।

ভেবেছিলাম তোকে নিয়ে লিখবো গোধুলি মাখা একটি

কবিতা,

শত শত কবিতা

এলোমেলো কবিতা

কিছু তুচ্ছ কবিতা।