কোনদিন কেউ প্রিয়তম মানুষ খুঁজলো কি?

image

ভালোবাসা কই? যোগ্যতম খুঁজতেছে সবাই। ভরা যৌবনে বিছানা আর বিত্ত, বৃদ্ধবয়সে শ্রোতা। বিত্ত আর বিছানা ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এখনতো, বিছানা অনেক আগেই খুঁজে নিচ্ছে; যোগ্যতম মানুষ না খুঁজে কোনদিন কেউ প্রিয়তম মানুষ খুঁজলো কি? আর, সাথে রইলো সমাজ স্বীকৃত স্বর্ন সন্ধানী দুটো পরিবার। এতো, নিখুঁত ভাবে স্বর্ন স্বন্ধানে নেমে পরে; সেই স্বন্ধানে যোগ্যতম হয়তো পেয়ে গেলো; কোনদিন প্রিয়তম পেলো কি? ভরা যৌবনে বিছানায় কি অন্য মুখ কোনদিন আসলোনা? বৃদ্ধ বয়সে গিয়ে, মনে মনে কি প্রিয়তম খোঁজার নিষিদ্ধ চিন্তা মস্তিকে খেললোনা? একটাবারও যদি এসে থাকে, সেই প্রতরনা; সেই ভয়ংকর বেঈমানীর শাস্তি কি ঈশ্বর দিবেননা?

image

প্রেমের ক্ষেত্রে আমি লোভী মেয়েদের পছন্দ করি-

যারা পুরুষের সফলতার লোভে পরে নিজের শরীরে জড়ানো সবকটা সুতো ছিঁড়ে ফেলতে প্রস্তুত !

উদাহরণে ছাত্রলীগ নেত্রী নাদিরার কথা মনে পরে,

কিংবা গাইবান্ধার সুস্মিতা ।

এরা কখনো সাধারণ সরল ছেলেকে ভালোবাসে না-

ভদ্র কিংবা ভালোর সংজ্ঞা তাদের কাছে মূল্যহীন,

হাজারটা খুন করে আসা বিশাল নেতার শিশ্ন মুখে নিয়ে ওরা আহ্লাদে আটখানা, ষোলখানা হয়ে যায় ।

তবুও যদি স্বার্থটা হাসিল হয়-

এই আশায় তারা নির্বিচারে সারাটা সময় ধরে উলঙ্গ থাকে

কিংবা নিজেকে নগ্ন রাখতে চায় ব্যাকুল ভাবে !

এমন মেয়েদের বিছানায় নিয়ে,

ইচ্ছে মতো নিজের সমস্ত যৌন-ফ্যান্টাসি মেটানো যায়-

স্বাভাবিকভাবেই পরের যোগ্যতায় কাতর লোভী মেয়েদের

নিজস্ব কোন ব্যক্তিত্ব থাকে না,

সেটা খাটে কিংবা হাটে-

সবখানেতেই যখন তখন তার পাছায় মুঠ করে চেপে ধরে

বলা যায়- " কেমন আছিস মাগী ? "

প্রত্যুত্তরে লাজুক লাল হয়ে নির্লজ্জের মতো বুকে আছড়ে পরবে ।

তাদেরকে যখন যেভাবে ইচ্ছে ব্যবহার করা যায়,

অনেকটা নিজের কেনা দাসীর মতোন,

মজাটা এখানেই-

এসব দাসী কিনতে টাকা লাগে না,

কেবল কিছু যোগ্যতা লাগে !

ভালো প্রভাবশালী নেতা হওয়া লাগে,

অথবা সফল কোন ব্যক্তিত্ব হলেই নির্বিচারে এদের জামা ছিঁড়ে নগ্ন করে ফেলা যায় যখন তখন ।

বিনিময়ে ভালোবাসতে হবে না,

কোন অর্থ পরিশোধ করতে হবে না-

কেবল রাজনৈতিক কিছু ফুটেজ অথবা সামান্য ক্যারিয়ার হাইলাইটস দিলেই খুশি !

অনেকেই এমন মেয়েদের ঘৃণা করে থাকলেও

আমি করি না-

আমি পছন্দ করি ওদের !

বিশেষ করে প্রেমের সময়টাতে ইচ্ছেমতো নগ্ন সময় কাটালেও

দিন শেষে বিয়ে করতে না পারার অপরাধ-বোধ জাগে না !

তার অনুপস্থিতিতে আফসোস থাকে না ...

___

অথচ হাজারটা লোভী নারীর কোমর চেপে ধাক্কা দেয়ার পর-

যখন মফস্বলের খুব সাধারণ শ্যামবর্ণের নির্লোভ মেয়েটা

নিরপরাধ চোখে বিশ্বাস করতে চায়,

ভালোবেসে হাত ধরতে চায়-

তখন নার্ভাস লাগে ভীষণ !

প্রেমের সময়টাতে ওর সহজ সরল কাঁধে কিংবা স্তনে

হাত ছোঁয়ানোর আগে দশ বার ভাবতে হয় ।

আর কখনো সম্পর্কটা শারীরিক হবার পর বিয়েটা না হলে,

আজীবন পুড়তে হয় ভীষণ অপরাধ-বোধে !