জীবন সায়াহ্নে

image

মানুষ কয় অর্ধেক রুটি খরচ করলে কুকুর প্রেমে পইড়া যায়,অর্ধেক সিগারেট খরচ করলে শত্রু বন্ধু হইয়্যা যায়, অথচ আমি আপনারে ভালোবাইসা আপনার লাইগ্যা আমার আস্ত একখান জীবন খরচ কইরা দিবার পরও আপনি মানুষখান আমার হইলেন না। দুনিয়ার কোন ভিক্ষুক অমন কইরা কারোও দরজায় ভিক্ষা চায় নাই, আমি যেমন কইরা আপনার দরজায় একচিমটি ভালোবাসা ভিক্ষা চাইছি। দুনিয়ার কোন মানুষ জীবন হারাইবার ভয়ে অমন হাউমাউ কইরা কাইন্দা উঠে নাই, আমি যেমন কইরা আপনারে হারানো ভয়ে কাইন্দা উঠছি। দুনিয়ার কোন ক্ষুধার্ত মানুষ খাওনের লাইগ্যা অত নতজানু হয় নাই। আমি যতখানি আপনার পাওনের লাইগয়া নতজানু হইছি। কোন নিঃসন্তান মা'ও সন্তান পাওনের লাইগাও অমন কইরা মাজার মসজিদে কপাল ঠেকায় নাই, আমি যেমন কইরা আপনারে পাওনের লাইগ্যা কপাল ঠেকাইছি। কোনো বেকার ছাওয়াল অমন কইরা চাকরি খুঁজে নাই আমি যেমন কইরা আপনারে পাওয়ার তরিকা খুঁজছি। দুনিয়ার বেবাক মানুষ বুঝল, আপনারে আমার লাগবোই লাগবো—শুধু আপনি মানুষখান বুঝলেন না। আপনি ম্যালা কিছু বুঝেন! নিরবতার ভাষা বুঝেননা ক্যান? বড় বড় কবিতা লেহেন অথচ আমার চক্ষু দুইডায় যে আপনার লাইগ্যা প্রেম জন্মাইয়া একটু একটু কইরা বাড়তাছে বন্যার জলের লাহান সেইডা ক্যান পড়বার পারেন না? ভালোবাসা তো প্রকাশ করোনের জিনিস না, ভালোবাসা বুইঝা লইতে হয়। আমি আট আনার মানুষ, বুকের ভিত্তে ষৌলআনা পিরিত পুষলেও কইবার পারিনা। আপনি অভিমানে চেহারায় আমাবস্যা নামান।নাক লাল কইরা ফেলেন রাগে। ঠোঁট কাঁপাইয়া দাউদাউ কইরা কাইন্ধা ভাসান বুক, নষ্ট কইরা ফেলেন চোখের অর্ধেক কাজল। চোখর্ভতি জল লইয়া আমারে জিগাইল, কতখানি ভালোবাসেন আমারে, একটু কইবেন, বেডা মানুষ হইলো মৌমাছির লাহান, মধু ফুরাইলে ভুইলা যায় ফুলের কথা। আপনিও কী স্বার্থপর বেটা মাইনসের লাহান আমারে ভুইল্যা যাইবেন? আপনিও কি গোধূলির আলোর লাহান আন্ধারে মিলাইয়া যাইবেন? আমি ক্যামনে বুঝাই তারে, তারে ভালো না বাইসা থাহন যায়না বইলাই তারে ভালোবাসি। তামাম দুনিয়ার মইধ্যে এত মানুষ থাহার পরও তার লাইগ্যা আমার মনডা ভীষণ পোড়ে। হেয় হাসলে আমার পৃথিবী হাসে, হেয় কানলে ব্যথা লাগে মনে, বিষের মতোন জ্বালা হয় বুকের মইধ্যে, হেয় কপালে হাত রাখলে শইল্যের একশো ডিগ্রী জ্বর নাইমা আসে শূন্যের কোটায়। সোহাগে ঠোঁট বাড়াইয়া দিলে মোমের লাহান গইলা যায় অন্তর। আমি ক্যামনে কই তারে? শইলের বিত্তে ক্যান্সারের অসুখ লইয়া একটা মানুষ জীবনরে যতটুকু ভালোবাসে, তার চাইয়াও বেশি আমি আপনারে ভালোবাসি যাদু.. আপনারে ভালোবাসি। তুমি থাইকা গেলে শালার এই সব নির্ঘুম রাত আমারে কই পাইতো কও, তুমি থাইকা গেলে আমার অনেক কিছুই হইতো না। চোখের সামনে দিয়ে এরকম একটা জীবন নষ্ট হইয়া যাইতো না। বিষাদে ডুইবা গিয়া আমার ভবিষ্যৎ টাও নষ্ট হইতো না। এতোটা'ও খারাপ ছিলাম না-যতটা তোমার গল্পেলেখা ছিলো। তোমার আর আমার ভিতরের কথা অন্যকাউকে কেন জানাইলা.? ভালোবাসতা না তাহলে বদনাম কেন ছড়াইলা.? হে ঈশ্বর, একটা মানুষের অন্তরে আরেকটা মানুষের লাইগা এত প্রেম দিও না, যতোটা প্রেম দিল প্রার্থনাতে মানুষ তোমার আশীর্বাদ না চাইয়া, তোমার কাছে চাইয়া বসে মানুষ। যদি আপনে আমারে অমানুষ ভাইব্বা দুঃখ দিয়া থাহেন,তাইলে আমিও কইতাছি আমার কষ্ট হয় না। পৃথিবীতে এতো এতো মানুষ। নগরে, বন্দরে বেশ্যাদের হোটেল। কোথাও ফিরিনি আমি। চাকরিটাও ছেড়েছি; আর, তুমি অজুহাত দিলে ভালোবাসিনি। তাহলে, কেন মুমূর্ষু মানুষের মতো চিৎকার করি।

তুমি বলেছিলে, "শুধু বিশ্বাস দিয়ো।"

আমি মাথা দুলিয়েছিলাম, "আমি অবিশ্বাসী নই।"

অথচ আমি জানতাম না, বিশ্বাস কাকে বলে?

আমার একটি হৃদয় ছিল ভালোবাসায় টইটম্বুর,

আমার বিলাস ছিল কল্পনার অধিক,

আমার ক্ষমতা ছিল রাজার সমান,

এবং আমার আকাঙ্ক্ষা ছিলে তুমি।

সর্বনাশ এভাবেই হয়েছিল।

আমি ভাবতে লাগলাম তুমি আর কাউকে ভালোবাসো কিনা? অবিশ্বাস।

আমি ভাবতে লাগলাম আমার বিলাস তোমাকে লোভী করলো কিনা? অবিশ্বাস।

আমি ভাবতে লাগলাম তুমি আমার ক্ষমতার ভাগ চাও কিনা? অবিশ্বাস।

আমি ভাবতে লাগলাম তুমি আর কাউকে আকাঙ্ক্ষা করো কিনা? অবিশ্বাস।

অবশেষে সত্যটুকু বুঝিয়ে দিলে তুমি, চলে যাওয়ার প্রাক্বালে-

"তুমি আমাকে চাওনি, তুমি মূলত তোমাকে আমার কাছে দেখাতে চেয়েছ।"

আমি নির্লজ্জের মতো তাকিয়ে থাকি তোমার দিকে।

তুমি কখনও নাক সিঁটকাও,

কখনও তেড়চা হাসো,

কখনওবা আমাকে শুনিয়ে বন্ধুদের বলো—

"মানুষের ইচ্ছে দ্যাখ্ শ্লা! ল্যাঙড়ার আকাশ ছোঁয়ার সাধ!"

আমি নির্লজ্জের মতো তাকিয়ে থাকি তোমার দিকে।

ওসময় আমার ভাবনায় বিছানা থাকে না,

দেহের বাঁক থাকে না।

আমি নির্লজ্জের মতো তাকিয়ে থাকি তোমার দিকে।

আমার বিরক্ত বন্ধুটি, এইসব দেখেশুনে, বলেই ফেললো আজ—

"বাদ দে না ভাই! ওর একটা জামার দাম তোর পুরো মাসের স্যালারি।"

বন্ধুর কাছে আমি জানতে চাইলাম— "ওর চোখে এতো বিষাদ কেন?"



image

যদি বলি আর ফিরছিনা ঘরে!

মোম জ্বালিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে উদ্বিগ্ন চোখে তাকাবে? নাকি খিল দিয়ে দরজায় ভুলে যাবে!

সে কি আর ঈর্ষান্বিত হচ্ছে না? সে কি আর কৌতূহল দেখাচ্ছে না? সে কি আর আগ বাড়িয়ে টেক্সট করছে না? সে কি তোমাকে নিয়ে আর উদ্বিগ্ন নয়?... সে কি কথায়-কথায় বলছে— "আমি ঠিকাছি,... সমস্যা নেই,... রাগবো কেন!... ভালো করেছ।"... শোনো, তার অশ্রুর শেষ ফোঁটাটি পড়ে গেছে। সে আর আগ্রহী নয়। সবাই ছেড়ে যাওয়ার সময় অভিযোগ করে না। সে আগেই অভিযোগ করেছিলো, যখন সে থাকতে চেয়েছিলো। তুমি শোনোনি।

পথের ওপাশে আমি।

প্রশস্ত রাস্তা বেছে নিয়ে তুমি সরু পথ এড়িয়ে গেলে।

ভিড় বেছে নিয়ে তুমি নির্জন পথ এড়িয়ে গেলে।

মোটর বেছে নিয়ে তুমি মেঠো পথ এড়িয়ে গেলে।

সহজ পথ বেছে নিয়ে তুমি আবছা পথ এড়িয়ে গেলে।

তুমি আমার কাছে পৌঁছতে পারলে না।

অথচ—

সূচনা সবসময়ই ক্ষুদ্র,

প্রশান্তি সবসময়ই নির্জন,

প্রেম সবসময়ই মৃত্তিকাগন্ধা,

সুখ সবসময়ই অদৃশ্য।

তুমি কীভাবে আশা করো আমাকে?



সব হৃদয়ই হৃদয় হতো যদি,

সব মানুষই পৌঁছে যেতো অন্তর অবধি।

খুব হাসিখুশিরা ভিতরে দুখী,

খুব বাকপটুরা ভিতরে একাকী,

খুব সহযোগীরা ভিতরে নিঃস্ব,

খুব প্রেমীরা ভিতরে প্রতারিত,

খুব লাজুকরা ভিতরে প্রত্যাখ্যাত,

খুব চঞ্চলরা ভিতরে আহত।

মানুষকে দুঃখ দিয়ো না।



"আমি বর দিনু, দেবী, তুমি সুখী হবে;

ভুলে যাবে সর্বগ্লানি বিপুল গৌরবে।"



স্বত্তায় জন্ম নেয়া পাপ আমার আচলে,

ধূলিকণা লেপ্টে থাকে শরীরে।

জন্মের অরুচীতে অসুস্থ শিশু চোখে জল নিয়ে কাদা চিবোয়।

তখন ও ঈশ্বর কি দ্যাখেন?

তিনি কি তখন ও ধর্ম লেখেন হাত পা গুটিয়ে?!

আমার ইচ্ছে করে।

আমার ইচ্ছে করে- আমি একবার ঈশ্বর হয়ে ভাগ্য লিখি নিজের।

নিজের, ওই অসুস্থ শিশুর! আচলে জড়ানো পাপের!

আমি হয়তো নিষ্ঠুর হতাম না, হোতাম না পাথরের মূর্তি কিংবা ক্রুশে ঝোলানো জীজাস।

আমি হোতাম খোপায় কৃষ্ণচূড়া দেয়া দীঘীর ঘাটে বসা পদ্ম।

আমার প্রেমিক হতো ওই কেবল একজন ই।

আমি ঈশ্বরী হতাম!

না-না! ইশ্বর ই হতাম!

প্রেমিক আমার পুজো দিতো। প্রেমিক সঙ্গমে আমায় সেজদা দিতো!

বাইবেল ছিঁড়তাম, শিশুটাকে খাইয়ে দিতাম

কিরে ব্যাটা? ক্ষুধা মরেনি? কাদা খাস ক্যানো?

আমায় খাবি? ঈশ্বরকে?

আচল থেকে পাপ নেমে আসবে বুকে, স্তনে।

খিলখিলিয়ে হেসে সে বলবে, আমায় কিছু মানুষ দিবি? পাপ হবো!

পাপেরা মানুষ চায়। আর মানুষ চায় ভালোবাসা।

ঈশ্বর ধর্ম লেখেন! ভাগ্য লেখেন!

ভুলে যান যা কিছু ছিলো অধিকার আমার!

আমি স্রোতহীন হয়েছি বহুজন্ম আগেই!

অ'ভিশাপ তো দিতে পারবো না, দিতে চাইও না, তবে এইটুকুই শুধু চাইবো, তোমার মতই একজন যেন তোমার জীবনে আসে; কথা দিয়ে কথা না রাখুক, ভালোবেসে আগলে না রাখুক, ছেড়ে না যাওয়ার শপথ নিয়েও ছেড়ে চলে যাক, স্বপ্ন দেখিয়ে সে স্বপ্ন ভে'ঙে'চু'রে এ'কাকার করে দিক, গল্প করতে করতে ভোর হয়ে যাওয়া রাত গুলো দী'র্ঘ'শ্বা'সে ভরে উঠুক, তবেই না তুমি বুঝবে; তবেই না তুমি বুঝবে তুমি ঠিক কেমন একটা মানুষ, আদো মানুষ হয়েছ কি না স'ন্দেহ আছে, মানব জন্ম পেলেই তো আর মানুষ হওয়া যায় না; মানুষ হতে গেলে তো মনুষ্যত্ব থাকতে হয়, থাকতে সুন্দর একটা হৃদয়, তোমার তো সবটাই ছিলো মি'থ্যে অ'ভিনয়ের আশ্রয়; একতরফা অ'ভিনয় হলেও এক তরফা তো ভালোবাসাই ছিলো, তাই তো তুমি নি'র্দ্বিধায় এতোটা পো'ড়া'তে পেরেছ; অ'ভি'যো'গ নেই কোনো অ'ভি'শা'পও দিবো না, জীবনটা ভরে উঠুক তোমার, তোমার মতই পেয়ে একজনা ।

কেহই থাকে না।

যাহার থাকার সাধ, তাহারে রাখে না।

অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকা সিলিং এ।

চাপা আর্তনাদ হয় ভয়ার্ত।

নব বৈশাখের আলতা ছিটানো দেয়াল জুড়ে

হাতে মুঠো কোরে ধরে থাকা প্রেমিকের কাছে লিখা চিঠি।

প্রেমিক কবি তার কবিতা ছেড়েছে!

বসন্ত যেহেতু শেষ, কোকিল শেষ বারের মতো ডেকে মরে যায়!

সাদা লাল এ ভরে থাকে প্রান্তর,

প্রেমিকার হৃদয় হয় শান্ত!