
অধিকার চাইতে গিয়ে বারে বারে যখন আপনি কপাট দ্যান মুখের ওপর!
আমি তখন ও বেঁচে থাকি!
তখন ও থাকি আশায়! একদিন ফুটবে ভালোবাসা!
রাত্তিরে কার জন্য পেটিকোট খুলে তুই ঈশ্বর হলি!
সকাল হতেই তো চুলের মুঠি ধরে বাইরে নিলি!
কার পৌরষত্বের বীজ বাড়ে তোর গর্ভে ?
কার পায়ের নিচেই তুই বেহেস্ত খুঁজিস??
গর্ভ, ভ্যাজাইনা, স্তন, নিতম্ব মানেই─ নারী নয়।
নারী ঐসবের সমষ্টি নয়, নারী সে-ই, পুরুষকে যে পুষ্ট করে আহারে, অনুপ্রেরণায়, এবং পরামর্শে।
নারী সে-ই, যে, পুরুষকে সঞ্চয়ের এবং সেই সঞ্চয় যথাযথ বিনিয়োগের কৌশল শেখায়।
নারী কখনো পুরুষকে আবেগী কথার মারপ্যাঁচে হারাতে চায় না, বাস্তবিক যুক্তির ধারে বোঝাতে চায়।
নারী জানে─ কখন বলতে হয়, কখন থামতে হয়।
নারী গোপনীয়তা প্রকাশ করে না কখনো।
নারী তার যোগ্যতা চেনে, এবং কিছু আদায়ের জন্য নিজেকে বিকিয়ে দেয় না।
নারী হচ্ছে ম্যানেজার, সে কেয়ারটেকার, এবং সে স্রষ্টা।
নারীর রুচি প্রাকৃতিক, সমকালীন ট্রেন্ড দ্বারা আরোপিত নয়।
অসচ্ছল পুরুষকে অবজ্ঞা করে না নারী, তাকে সে অনুপ্রাণিত করে সচ্ছলতা অর্জনে।
সন্তান প্রসব করাই নারীত্ব নয়, বরঞ্চ নারীত্ব হলো─ সভ্যতা প্রসব করা।
যার কাঁধে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে কাঁদতে পারে পুরুষ, সে-ই নারী।
পুরুষের কাছ থেকে সম্মান আশা করে যে-মহিলা, সে নারী নয়; নারী পুরুষের কাছ থেকে সম্মান অর্জন করে নেয়।
নারী হচ্ছে সাহস, নারী একটি পুরো জাতি।
অনেকেই মহিলা─ গর্ভ, ভ্যাজাইনা, স্তন, নিতম্ব সর্বস্ব মহিলা; কিন্তু তাদের মধ্যকার অল্প ক'জন মাত্র নারী।
নারী আশ্রয়।
আর, পুরুষ?
নারীর যোগ্যতাকে সম্মান করে যে, সে-ই পুরুষ। বাকিরা পুংলিঙ্গ।
দুঃখ না পেলে- জানতাম না- মুখ আর মুখোশের সমান্তরালতা;
দুঃখ না পেলে - দেখতাম না -বিশ্বাস এক মরীচিকা;
দুঃখ না পেলে - বন্ধু পেতাম না -বুনো ফুল বা একাকিত্ব কে;
দুঃখ না পেলে - গুরুত্ব দিতাম না- মন পাতানো সম্পর্কদের;
দুঃখ না পেলে - খুঁজতাম না-আমার "আমি " কে?
দুঃখ না পেলে - হয়ে উঠতাম না এই পৃথিবীর উপযুক্ত;
দুঃখ না পেলে - জানা হয়ে উঠতনা- ভালবাসার উন্মাদনা....
অনুভব হয়নি আজও কোন পিছুটান- পেলামনা কোন পরিবার যারা অন্তত পিট চাপড়ে বলতো "আছিতো আমি" ; হয়ে গেছি বাউন্ডুলে- প্রথম দেখায় প্রেম ওখানেই সমাধি দিতে পারিনি- আমি জানাতে পারিনি তোমাকে......