আমি দেখলাম, পুরুষকে বুকে জড়িয়ে চোখ মুছে দিচ্ছে পুরুষ।
আমি দেখলাম, পুরুষের কবিতা পড়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে পুরুষ।
আমি দেখলাম, সিগ্রেটের আধাআধি ভাগ করে ফুঁকছে কিংবা অকারণ পুড়িয়ে ফেলছে পাশাপাশি নির্বাক দু'পুরুষ।
আমি দেখলাম, পুরুষের মাথায় আলতোয় হাত রেখে সান্ত্বনা দিচ্ছে পুরুষ-
"ও কিছু নয় রে! নারী একদিন চিনতে শিখবে আমাদের হৃদয়।"
আমার মনে হলো, পৃথিবীতে ঋতু পাল্টাবে, সময় হারিয়ে যাবে তার স্বাভাবিক নিয়মে, পৃথিবী বুড়ি হবে;
পুরুষই পুরুষের দুঃখ মুছে দিতে প্রাণপণে হাহাকার করে যাবে যখনতখন।
অথচ, আমি ভেবেছিলাম, ব্রহ্মাণ্ডের সমস্ত বেদনা নিমিষে প্রেম হয়ে যায় কেবলমাত্র নারীর আঁচল ছুঁলে,
নারী ছোঁয়ই।
নারী, তোমাদের কী হলো আজ?
আঁচল কেনো আর পায় না পুরুষ?

একটি পুরুষ একটি নারীর কোলে
ডুবিয়ে রেখে অশ্রুছোঁয়া কপাল
ডুকরেছিলো- হয়নি পাওয়া বিশ্বাসেরই নাগাল!
চুলের মাঝে থরোথরো আঙুল
চালিয়ে দিয়ে আকুল জলজ নারী
ফুঁপিয়েছিলো- প্রেমিক তো নয় খুঁজেছি সংসারী!
একটি নারী সংসারে ডুব সুখে;
একটি পুরুষ ন্যাংটা পাগল, ঢিল ছুঁড়ছে লোকে।