আজ নিঃস্ব লাগে

image

নদী আর নারীর প্রেমে যে পুরুষ না পরে তার জীবনই বৃথা। সাধারণত আমি সুন্দরী আর বিদুষী ছাড়া প্রেমে পড়িনা। কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলে সত্যিই খুশি হই। তবে এটা বিশ্বাস করিনা, প্রেমে পড়লে সামনের মানুষীটিকে তা জানাতেই হবে,কথাবার্তায় বা হাবেভাবে। মনে মনে, শিশুর মতো দৃষ্টি নিয়ে তার সামনে বসে গান বা কবিতা শুনি বা তাকে চুমু খাই….বা মুগ্ধতায় প্রণাম করি…..সেটুকু আমার মধ্যেই থাক, “কিউকি ইসকা হক শ্রিফ মেরা হ্যায়”……..

নাস্তিক মানুষ, তাও পাপ পুণ্য মানি, একটু নিজের মতো করে……..

যে মেয়েটা বাসে কেক খেয়ে,খালি প্যাকেটটা জানলা গলিয়ে বাইরে না ফেলে…ব্যাগের ভিতর রেখে দেয়….তার প্রেমে না পড়াটা পাপ….

যে মেয়েটা বিউটি পার্লারে না গিয়ে টাকা বাঁচিয়ে….. কাঞ্চনজঙ্ঘার দিকে তাকিয়ে একবুক পাহাড়িয়া নিশ্বাস নেয়…তার প্রেমে পড়াই যায়……..

যে মেয়েটা স্কুটি থামিয়ে রাস্তার খুলে থাকা ট্যাপ কলটা বন্ধ করে দেয়.. তার প্রেমে না পড়াটা পাপ..

যে মেয়েটা স্বামীর নিস্পৃহতা বুকে নিয়ে.. মাঝরাতে উঠে লিখে ফেলে একটা অসাধারণ কবিতা বা গল্প তার প্রেমে পড়াই যায়……

যে মেয়েটা নতুন কেনা ফুলগাছটায়…..পোকা ধরেছে বলে কেঁদে ফেলে…… তার প্রেমে না পড়াটা পাপ……

যে মেয়েটার শাড়ীর আঁচলে বা ওড়নায়…..রুমাল নেই বলে…..নিসঙ্কোচে হাতটা মুছে নেওয়া যায়….তার প্রেমে পড়া যায়…..

যে মেয়েটা রোজ পাড়ার কুকুরদের খেতে দেবার সময়, একই স্নেহ দৃষ্টি নিয়ে একবার তাকিয়ে যায়…..তার প্রেমে না পড়াটা পাপ…..

যে মেয়েটা স্বল্প উচ্চতার জন্য ভিড় বাসে, টলে গিয়ে বার বার হাতটা ধরে ফেলে….তারপর লজ্জায় আলতো করে বলে ওঠে, “সরি কিছু মনে করবেন না”….নখের খোঁচা খেয়েও, তার প্রেমে পড়াই যায়……

যে মেয়েটা রাস্তায় ফুটপাথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বলে, ওঠে আমাদের দুটো ছানার মধ্যে একটাকে কিন্তু আমরা অ্যাডপট করবো….. তার প্রেমে না পড়াটা পাপ…

কনভেন্টে সারাজীবন পড়া যে মেয়েটা রাস্তায় হোঁচট খেয়ে “আউচ” না বলে “মাগো “ বলে বা বিরক্তিতে “ডিসগাস্টিং” না বলে “ধুর শালা” বলে,তার প্রেমে পড়াই যায়……

যে মেয়েটা ছেঁড়া জামা দেখে সেফটিপিন এগিয়ে দেয়….তার প্রেমে না পড়াটা পাপ…..

যে মেয়েটা সিরিয়াস পরিস্থিতির মাঝেও, পাতি জোকসেও খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে, তার প্রেমে পড়াই যায়….

যে মেয়েটা বই পড়তে দিয়ে আর ফেরত চায় না….তার প্রেমে না পড়াটা পাপ…..

যে মেয়েটার সাথে মাঝরাতেও নীললোহিত বা জয় গোসাঁইকে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বকা যায়….তার প্রেমে পড়াই যায়…..



প্রিয় মেঘ-

তোমার ছুঁইতে গিয়া জানলাম

আমার আগে কেউ তোমার শরীরে অশ্লীল পদ্য লিখতে পারে নাই !

কেউ হয়তো চেষ্টা করলেও-

জ্বলজ্বল করা আগুন লাগার আগেই,

দৌড়ে পালায়ে গেছে !

আমাদের একান্ত রাতে-

যেবার প্রথম তোমার শরীরে হাত রাখি,

সেবারই বুঝতে পারি,

এই শরীর জুড়ে এক ভয়ানক আগ্নেয়গিরি ঘুমিয়ে আছে !

ধীরে ধীরে শাড়ির ভেতর থেকে শরীর বের করে এনে দেখি-

কি নির্মম পদ্ম লুকিয়ে আছে,

নিমিষেই কেমন হিংস্রতা ভর করে আমার দাঁতে-

নেকড়ের মতো কামড়ে ধরতে গিয়েও শান্ত হয়ে যাই !

এই আগুনের অদ্ভুত মায়ায় আমি প্রতিটা রাত নিহত হতে থাকি !

এই দুর্বার যৌনতা,

আমি কখনোই ভুলবো না প্রিয়া-

তুমিও কখনো জানবে না,

তোমার পাতলা ব্রেসিয়ারের শেষ হুকটাতে এসে,

আমার দম কেন এতো আটকে পরে থাকে !



তোকে ভুলবার উপায় কি? তুই কি জানিস?