আর উপেক্ষায়.?

image

স্বত্তায় জন্ম নেয়া পাপ আমার আচলে,
ধূলিকণা লেপ্টে থাকে শরীরে।
জন্মের অরুচীতে অসুস্থ শিশু চোখে জল নিয়ে কাদা চিবোয়।
তখন ও ঈশ্বর কি দ্যাখেন?
তিনি কি তখন ও ধর্ম লেখেন হাত পা গুটিয়ে?!
আমার ইচ্ছে করে।
আমার ইচ্ছে করে- আমি একবার ঈশ্বর হয়ে ভাগ্য লিখি নিজের।
নিজের, ওই অসুস্থ শিশুর! আচলে জড়ানো পাপের!
আমি হয়তো নিষ্ঠুর হতাম না, হোতাম না পাথরের মূর্তি কিংবা ক্রুশে ঝোলানো জীজাস।
আমি হোতাম খোপায় কৃষ্ণচূড়া দেয়া দীঘীর ঘাটে বসা পদ্ম।
আমার প্রেমিক হতো ওই কেবল একজন ই।
আমি ঈশ্বরী হতাম!
না-না! ইশ্বর ই হতাম!
প্রেমিক আমার পুজো দিতো। প্রেমিক সঙ্গমে আমায় সেজদা দিতো!
বাইবেল ছিঁড়তাম, শিশুটাকে খাইয়ে দিতাম
কিরে ব্যাটা? ক্ষুধা মরেনি? কাদা খাস ক্যানো?
আমায় খাবি? ঈশ্বরকে?
আচল থেকে পাপ নেমে আসবে বুকে, স্তনে।
খিলখিলিয়ে হেসে সে বলবে, আমায় কিছু মানুষ দিবি? পাপ হবো!
পাপেরা মানুষ চায়। আর মানুষ চায় ভালোবাসা।
ঈশ্বর ধর্ম লেখেন! ভাগ্য লেখেন!

সময় বয়ে যায়, কত কাল পেরিয়ে গ্যালো হাত টা ছোঁয়া হয়নি..
কত রাত জেগেছি।
চোখের নিচে কাজল নয় ওসব! ভালোবাসার অপেক্ষা জমেছে!
নাকের নথের মাঝে গুঁজে রাখি তবুও, কবে আসবেন? কবে হবে দ্যাখা?

image

তোমারে ভুলতে গিয়া বিড়ি টানি সারা দিনভর। তবুও তোমার মুখ কিলবিলায় মাথার ভিতরে।
মাথারে রাখতে যাই রাস্তার ধারের ডাস্টবিনে—
সেইখানে ভাত খোঁজে পাগল আর বেইশ্যা দুইয়ে মিলে।
তাদের ধারে আমিও বইসা যাই, ভাত নয় তোমারে খাইতে।
পাগলায় ঠ্যাঙ চিবায় বেইশ্যায় পঁচাভাত গিলে।
হঠাৎ ভাবনা হয়— মাথার ভিতরে তুমি নাই!
অইখানে কিলবিলায় বেইশ্যা আর পাগলের ক্ষিধা।
তখনই খেয়াল করি— দুইজনায় জড়াজড়ি কান্দে!
আমিও তাদের ধারে বইসা থাকি কান্দনে ভিজতে।
তিনজন পঁচা, ভাঙা, আধা মানুষ ফোঁপাইতে থাকি—
চায়া চায়া চইলা যায় হাজার-লক্ষ জোড়া চোখ।
সূর্য ডোবে, চান ওঠে, গাবগাছে আইসা বসে পেঁচা,
তার উপরে শাদা মেঘ ধীরেধীরে উত্তরদিক ভাসে।
তখনই, আবার তুমি মাথার ভিতরে আইসা বসো!
ফিইরা দেখি— দুইজন, চাইরজন, কুড়িবাইশ, শয়েশয়ে বসা!
ডাস্টবিনের চাইরধারে শয়ে-লাখে বইসা-বইসা তারা
জড়াজড়ি কান্দে, কিন্তু শব্দ নাই, জল নাই, কান্দনের ঘেরাণ শুধু পাই।
রাইতদিন তোমারে লইয়া মাথার ভিতরে
লাখেলাখে মাইনষে তয় হাসিমুখে ঘোরে?
কান্দনের জাগা নাই, তাই সবে হাঁটে, খায়, বাঁচে?
তুমি কি তাইলে হাসি? কান্দনের অন্যথা মুখ?
এইজন্যই
হায়
কান্দনের মতন নাই সুখ!

তোমাকে দেখতে চাই—
অপরাধী আমি এই দোষে।
ফাঁসির ঘোষণা নিয়ে একবার প্লিজ আসো কাছে!

যারতার সামনে কেঁদো না।
অশ্রু কারও কাছে হেমলক, কারও কাছে নিতান্তই লোনাজল।